ই- পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

 

 

 কিভাবে খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায় জানুন 

ই- পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে যারা জানেন না  তারা এটা জেনে নিতে পারেন। এটি খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।তাই এ বিষয়ে জানা খুবই প্রয়জন।কারন আমরা না বুঝে অনেক কিছু করে থাকি ।যা আমাদের ভুল হতে পারে। তাই আমাদের সঠিকটা জানা দরকার।

অনেকে আছেন খতিয়ান নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাই তাদের জন্য এই লিংক সাইট টা খুব গুরুত্বপূর্ণ । এই  লিংক সাইট এস ইও এর মাধ্যমে দেয়া আছে আপনারা সবকিছু  ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। তাই দেরি না করে চলুন দেখি কিভাবে খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়।

পেজ সূচিপত্রঃই- পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই- পর্চা খতিয়ানের অনুসন্ধান

ই- পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চাইলে আপনাকে অবশই ভালভাবে জানতে হবে। ভুল হয়ে গেলে বা ভুল জানলে আপনি অনেক জানা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। তাই আপনার সঠিকটা জানা দরকার। যারা ই- পর্চা খতিয়ান সম্পর্কে ভালোভাবে জানে না তারা এই বিষয়ে কম বুঝে। 

ই- পর্চা খতিয়ান হল জমির একটি মূল্যবান বিষয় ।যারা জমির  মালিক আছেন তাদের এই বিষয় ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। তানাহলে পরবর্তী জমি নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনাদের সকলেই এই বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার। 

ই- পর্চা খতিয়ান সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন এই জন্য যে আপনার জমি আছে কিন্তু আপনার দলিল নাই আবার দলিল আছে কিন্তু দখল নাই।আবার এমন হতে পারে আপনি একটি জমি ক্রয় করেছেন ।বৈধ একটি দলিল আছে ।

কিন্তু এলাকার কিছু ক্ষমতাবান মানুষ আপনার জমি দখল করে আছে। তাই এ বিষয়ে আপনাকে জমির সঠিক খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে জানতে হবে।

অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান

অনলাইনে খতিয়ান সম্পর্কে জানতে  হলে প্রথমে আপনাকে ব্রাওজারে গিয়ে ই- পর্চা খতিয়ান সম্পর্কে টাইপ করতে হবে তারপর আপনাকে যে বিষয়গুলো লক্ষ করতে হবে নিচে পর্যায়ক্রমে দেয়া হল-

প্রথমে আপনি আপনার বিভাগ সিলেক্ট  করবেন তারপর আপনার জেলা সিলেক্ট করবেন এরপর উপজেলা তারপর খতিয়ানের ধরন সিলেক্ট করতে হবে। তারপর কত নম্বর দাগে আছে তা লিখতে হবে।

আপনি যদি খতিয়ান আবেদন করতে চান তাহলে খতিয়ান আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন ফরম পূরণ করতে চাইলে পূরণ করতে পারবেন। সেরিয়ালে যে অপশনগুলো আসবে সেগুলো পূরণ করতে হবে।

নতুন নিয়মে দাগ দিয়ে পর্চা বের করা

ই- পর্চা খতিয়ানের আরও একটি বিষয় হল নতুন নিয়মে দাগ দিয়ে পর্চা বের করা। এটি জমির  গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।শুরুতে আপনি ল্যান্ড লিখে গুগোলে ক্লিক করবেন তারপর ওয়েবসাইটে যে যে ওয়েবসাইট আসবে আপনি সেখানে ক্লিক করবেন তারপর  একটু নিচের দিকে চলে গেলে আপনি দেখবেন ভূমি রেকর্ড ম্যাপ সেখানে আপনি ক্লিক করবেন।

তারপর আপনি দেখতে পাবেন সার্ভে খতিয়ান ও নামজারি খতিয়ান। সার্ভে খতিয়ান মানে বি,আর, এস খতিয়ান, এস এ খতিয়ান, সি এস খতিয়ান আর নামজারি খতিয়ানে আপনি যদি যান সেখানে আপনি খারিজি খতিয়ান দেখতে পাবেন।আর আপনাকে বি, আর ,এস খতিয়ানে যেতে হবে।সেখানে গিয়ে আপনি বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মওজা পুরন করবেন।তারপর দাগ সিলেক্ট করবেন।এভাবে আপনি পর্চা বের করতে পারেন।

সার্ভে খতিয়ানের তথ্য 

আনুসন্ধানে ক্লিক করলে আপনি সার্ভে খতিয়ানের তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।সেখানে খতিয়ানের নম্বর ৯৭২ ক্লিক করলে দেখবেন সেখানে সবগুলো দাগ নম্বর দেয়া আছে।তারপর সবগুলো মালিকের নাম না আসলে খতিয়ানের যে পেমেন্ট আপনাকে তা পরিশোধ করতে হবে।

পেমেন্ট করার জন্য আপনাকে ঝুড়িতে রাখুন বলে যে অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করবেন।তারপর উপরের দিকে গিয়ে আপনি লগইন করবেন। লগইন করতে গিয়ে আপনি ঝুড়িতে ক্লিক করবেন। এভাবে একটার পর একটা যে অপশন আসবে আপনাকে সম্পূর্ণ করে খতিয়ানের তথ্য বের করতে হবে।

সারটিফাইড কপি সম্পর্কে ধরনা

সার্ভে খতিয়ানে তথ্য থেকে যে ঝুড়িতে ক্লিক করা হয়েছিল সেখানে একটি সারটিফাইড কপি আসবে ।সারটিফাইড কপি মানে আপনার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় হতে আপনাকে সই মহুরি পর্চা নামে আপনাকে ডাকযোগের মাধ্যমে আপনাকে পাথাবে।

আর অনলাইন কপি মানে ইনস্ট্যান্ট যে পর্চা আপনি নিতে চাচ্ছেন। তাই আপনি অনলাইন কপিতে ক্লিক করবেন ।তারপর উপজেলাতে ক্লিক করবেন। চেক আউটে ক্লিক করবেন।ক্লিক করলে আপনাকে বলবে লগইন করার জন্য।

আপনার যদি একাউন্ট করা না থাকে তাহলে রেজিস্ট্রেশন যেখানে থাকবে সেখানে ক্লিক করবেন।তারপর আপনার নাম দিবেন।আপ্নার মোবাইল নম্বর দিবেন।তারপর সাবমিট করবেন।এরপর আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে।আপ্নি ওটিপি দিবেন।দেওয়ার পর আপনার পাসওয়ার্ড দিবেন।তারপর পাসওয়ার্ড হালনাগাদে ক্লিক করবেন। এরপর আপনি ডাউনলড করে নিবেন। 

ই- পর্চা খতিয়ানের প্রকারভেদ

বাংলাদেশে সাধারণত চার ধরনের খতিয়ান । যথা -

১.সি এস খতিয়ান

২. এস এ খতিয়ান/ এম আর খতিয়ান

৩.আর এস খতিয়ান

৪.বি এস খতিয়ান/ সিটি জরিপ

১. সি এস খতিয়ান

সি এস খতিয়ানের পুরো নাম cadastral সার্ভে । এই সি এস খতিয়ান ১৮৮৮-১৯৪০ পর্যন্ত সময়ে প্রস্তুত করা হয়েছিলো ।এটাকে ডিএস খতিয়ানও বলা হয় ।এটিই সবচেয়ে প্রাচীনতম খতিয়ান, যাহা ব্রিটিশ শাসন আমলে প্রস্তুত করা হয়েছে ।

২. এস এ /এম আর খতিয়ান

এস এ খতিয়ানের পূর্ণরূপ স্টেট  একুইজেশন ।এ খতিয়ান ১৯৫৬-১৯৬৩ পর্যন্ত সময়ে প্রস্তুত করা হয়েছিল/ এটি পি এস ও এম আর খতিয়ান নামে পরিচিত। পাকিস্থান সরকারের আমলে এই খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়েছিল।

৩.আর এস খতিয়ান 

আর এস খতিয়ানের পূর্ণরূপ রিভিশনাল সারভে। এই আর এস খতিয়ান ১৯৬৬-১৯৮৪ পর্যন্ত সময়ে প্রস্তুত করা হয়েছিল। এটি একটি সংশোধনী খতিয়ান

৪.বি এস / সিটি জরিপ খতিয়ান

বি এস খতিয়ানের পূর্ণরূপ বাংলাদেশ সার্ভে। এই বি এস খতিয়ান ১৯৮৪ সালে চলমান রেখে ভি ডি এস খতিয়ান এর কার্যক্রম শুরু করেছে । যাহা বর্তমানে কয়েকটি জেলায় জরিপের কার্যক্রম চলমান ।

মাঠ পর্চা কিভাবে  পাবো

সংশ্লিষ্ট সেটেলমেন্ট অফিসে গেলে আপনি মাঠ পর্চা সম্পর্কে জানতে পারবেন ।গেজেট পাওয়ার পর আপনি এসি ল্যান্ড ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ডিসি অফিস ও জেলা প্রশাসকে আপনি মাঠ পরচা সম্পরকে জানতে পারবেন ।

খতিয়ানে নম্বর দিয়ে জমি চেক

খতিয়ানে নম্বর দিয়ে জমি চেক একটি সহজ কাজ ।তাই প্রথমে  ক্রমতে চলে জাবেন। ওখানে যাওয়ার পর আপনি সার্চ অপশনে গিয়ে আপনি লিখবেন ল্যান্ড গভ বিডি তারপর ক্লিক করবেন ।আপনার সব তথ্য চলে আসবে ।তারপর নিচে চলে যাবেন দেখবেন ভূমি রেকর্ড আসবে। তারপর বিভাগ,জেলা,উপজেলা,মউজা ও আপনার নিজের জমির দাগ নম্বর দিয়ে আপনি আপনার জমি চেক করতে পারবেন ।

খতিয়ানের  মাধ্যমে জমির মালিকানা যাচাই

অনেক সময় আমাদের নিজেদের জমিজমা নিয়ে বিভিন্ন রকম ঝামেলায় পড়ে যায়।যেমন ধরুন জমির মালিক আপনি কিন্তু কেউ আপনার জমি মালিক হিসাবে দাবি করছেন আর এ রকম ঝামেলায় পড়লে তখন আমাদের জমির মালিকানা যাচায় করতে হয়। ওই জমিটার সি এস রেকর্ড কার নামে হয়েছিলো আর আর এস রেকর্ডের সময় কার নামে নিমন্ধন হয়েছিলো এরকম ভাবে সকল তথ্য জানার প্রয়োজন হয়। 

আর এ সকল তথ্য বের করার জন্য আমাদের ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা ভূমি অফিস আবার জেলা অফিস অনেক জায়গায় যেতে হয়। এতে আমাদের হয়রানির স্বীকার হতে হয়। তাই আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সহজে জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন। 

প্রথমে আপনি গুগলে গিয়ে গভ বিডি লিখে ক্লিক করলে ই- পর্চা নামে অপশন আসবে।তারপর সার্ভে খতিয়ান এলে সেখান থেকে আপনি জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন।তারপর আপনি বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সি এস ,দাগ নম্বর দিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।খতিয়ানের নম্বর দিয়ে আপনি মালিকের নাম জানতে পারবেন।এভাবে আপনি জমির আসল মালিকের নাম জানতে পারবেন।

জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে

জমি কিনার জন্য আমাদের কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হবে। জমি কিনার জন্য পাঁচ ধরনের কাগজ লাগে তবে গুরুত্বপূর্ণ হল চার ধরনের কাগজ। রেকর্ড সংশোধনের জন্য প্রথমেই আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে সদ্য তলা।তারপর যার নামে খারিজ হবে তার এন আইডির ফতকপি। তারপর লাগবে জমির মালিকানার পেপারস,আপনি ক্রয়সুত্রে মালিক হলে আপনার দলিল প্রভাইড করতে হবে। আর যদি ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হয়ে থাকলে ওয়ারিশের সনদ লাগবে। 

সর্বশেষ যা লাগবে তা হল জমি রেকর্ডের পেপারস।তাই আপনি জমি কিনলে দলিলের সাথে খারিজ খুব গুরুত্বপূর্ণ ।আপনি যদি জমি কিনে খারিজ না করেন পরবর্তী ওই জমি আপনার অন্যর দখলে যেতে পারে কারন পূর্বের মালিক আপনার জমি গোপনে অন্য যায়গায় বিক্রি করে দিতে পারে। জমি খারিজ না থাক্লে।তাই জমির দলিলের থেকে জমির খারিজ খুব গুরুত্তপুরন।

শেষ মন্তব্য

পরিশেষে বলতে পারি যে , ই- পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে জানতে হলে অবশই উপরিক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে ।আপনাকে অবশই ই- পর্চা খতিয়ান সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। ভালোভাবে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url