ভিসা ছাড়া মালদ্বীপ ঘুরে আসি
প্রাকৃতিক সুন্দরে ভরপুর এই দেশ। মনে হয় আল্লাহ্ পাক নিজে হাতে গড়ে তুলেছেন এই দেশ। যেখানে গেলে আপনার মন শান্তিতে ভরপুর হয়ে যাবে ।আসসালামুলাইকুম বন্ধুরা আজকে ভিসা ছাড়া কিভাবে এই সুন্দর দেশটি আপনি ঘুরবেন সেই বিষয়ে আজ আলোচনা করব।
ভুমিকাঃ প্রকৃতির সুন্দরযের আপরুপ লীলাভূমি দেশটি সুমুদের কর্নার হিসাবে ।দেশটিতে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। বেশিরভাগ মানুষ এখানকার শতভাগ মানুষ মুসলমান । আর অবশই এখানকার নাগরিকতা পেতে হলে আপনাকে মুসলমান হতে হবে।
মালদ্বীপ এর রাজধানীর নাম মালে। মালদ্বীপ এশিয়ার সবচেয়ে ছোট দেস। যার মোট আয়তন ২৯৮ বর্গ কিলমিতার। ডেশটিতে প্রায় পাঁচ লাখ একুশ হাজার মানুষ বসবাস করে। মালদ্বীপকে দেশের স্বর্গ ভূমিও বলা হয়। তাই মালদ্বীপের সুন্দরয উপভোগ করতে প্রতি বছর লাখো মানুষ সেখানে যাই।
প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
মালদ্বীপ যাওয়ার জন্য যে তথ্য গুলো লাগবে সেগুলো নিচে
দেয়া হইলো ঃ
১।ভালিড পাসপোর্ট (হার্ড কপি )
২।হোটেল বুকিং ভাউচার (হার্ড কপি )
৩।ফ্লাইট টিকেট (হার্ড কপি )
৪।Imuga ট্রাভেলার ডিক্লারেশন ফর্ম (সফট কপি )
৫।Return টিকেট থাকতে হবে।
৬।কিছু ডলার থাকতে হবে।
৭.৩৫/৪৫ মিলিমিটারের ২ কপি ছবি
ভ্যালিড পাসপোর্টঃ মালদ্বীপ যাওয়ার পূর্বে অবশ্যয় ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকতে
হবে। কোন রকমের সমস্যা যদি থাকে পাসপোর্ট এ তাহলে মালদ্বীপ যাওয়ার পূর্বে সংশোধন
করতে হবে। পাসপোর্ট সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক থাকতে হবে।
হোটেল বুকিং ভাউচারঃ মালদ্বীপ যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই হোটেল বুকিং ভাওচার
থাকতে হবে।কারন কোন রকমের সমস্যা দেখা দিলে আমাদের বাংলাদেশ ফিরে আসা
মুশকিল হয়ে যাবে । তাই আমাদের এই বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে যেন হোটেল বুকিং ভাউচার
সাথে থাকে।
ফ্লাইট টিকেটঃ মালদ্বীপ যাওয়ার জন্য যে জিনিস টি বেশি প্রয়োজনীয় সেটা হল
ফ্লাইট টিকেট। এই টিকেট এর হার্ড কপি আমাদের সাথে রাখতে হবে। অনেক সময় আমরা
হার্ড কপির জন্য ঝামেলাই পরতে পারি।তাই অবশ্যই এর হার্ড কপি সাথে থাকতে হবে।
Imuga ট্রাভেলার ডিক্লারেশন ফরমঃমালদ্বীপ যাওয়ার পূর্বে আরও একটি
কাজ করতে হবে তা হল অনলাইন এ imugaডিক্লারেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। এবং সফট কপি
আমাদের সাথে রাখতে হবে।তা না হলে ঝামেলাই পড়তে পারেন।
Return টিকেটঃ বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই Return
টিকেট নিজের কাছে রাখতে হবে। তা না হলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন ।তাই সবকিছু
কমপ্লিট করে তারপর আপনি নিশ্চিন্তে মালদিপ যেতে পারেন।
কিছু ডলার সাথে থাকতে হবেঃ মালদ্বীপ যাওয়ার পূর্বে আপনি অবশ্যই কিছু ডলার
বেশি সাথে রাখবেন।কারন কিছু ক্ষেত্রে মালদ্বীপ ইমেগ্রেশন অফিসার রা ডলার বেশি না
থাকলে ঝামেলা করে।তাই এই বিষয় গুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
৩৫/৪৫ মিলিমিটারের ২ কপি ছবিঃআমাদের মনে রাখতে হবে যে মালদ্বীপ যাওয়ার
পূর্বে অবশ্যই ২ কপি ছবি সাথে রাখতে হবে। এটাও একটি প্রয়োজনীয় জিনিশ জা আমাদের
সাথে রাখতে হবে।
আবস্থানঃবাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপের অবস্থান২৯২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থান
।বিমান দিয়ে যেতে প্রায় সারে চার ঘণ্টার মত সময় লাগে। মালদ্বীপ মোট ১১৯২ দিপ নিয়ে
গথিত। মালদ্বীপে ৯৫ শতাংশ পানিতে পরিপূর্ণ ।এই করাল দ্বীপ পৃথিবীর মদ্ধে বিখ্যাত
। কারন এর বালু গুলো সাদা , নরম ও মসৃণ ।
মালদ্বীপ হল পুরো পৃথিবীর মধ্যে নিচু দেশ। মালদ্বীপ এশিয়ার সবচেয়ে ছোট দেশ। এর
আয়তন হল ২৯৮ বর্গ কিলোমিটার । এখানকার লোকসংখ্যা প্রায় চার লক্ষ ।এখানে
প্রায় ১৯০ রকমের সামদ্রিক প্রাণী আছে ।
বর্ণনা ঃ মালদ্বীপ হল সারা পৃথিবীর মধ্যে অপূর্ব সুন্দর এবং নীল
পানি,সাদা বালি। অনেক বিখ্যাত পর্যটকরা এখানে ছুটি কাটাতে আসে । একে ছোট্ট স্বর্গ
বলা হয় । মনে হয় আল্লাহ নিজে হাতে তৈরি করেছেন এই দেশ ।এখানকার সবকিছু আপনার মন
কেড়ে নিবে ।
মালদ্বীপ যাইগাটি একটি আকর্ষণীও জাইগা ।এখানকার বিলাসবহল হোটেল গুলো পর্যটক দের
কাছে একটি স্বর্গ ।ভারত মহাসাগরে এই দ্বিপটি গঠিত ।মালদ্বীপের জনগন তাদের উষ্ণ
আথিতির জন্য পরিচিত ।
তাই পরিশেষে বলব যে এই মালদ্বীপ পুরো পৃথিবীর একটি শান্তির জাইগা ।অল্প টাকাই
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমন সম্ভব ।আপনি শান্তির জন্য এই দেশে জেতে পারেন ।
আপনার মনকে প্রশান্তির শিকড়ে বেধে দিবে ।তাই জীবনে একবার হলেও দেশটি ঘুরে আসতে
পারেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url